চিকিৎসা নিতে এসে খোদ চিকিৎসকের হাতে ধর্ষনের শিকার

চিকিৎসা নিতে এসে খোদ চিকিৎসকের হাতে ধর্ষনের শিকার

ঝিনাইদাহ মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া গ্রামের ১৩ বছরের এক শিক্ষার্থী গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নিতে এসে উপুর্যপুরি ধর্ষনের শিকার হয়।

ধর্ষনের সময় শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের ডাক্তাররা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রের্ফাড করেন।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদাহের মহেশপুর উপজেলার সেজিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ৬ষ্ঠ শ্রেনী পড়ুয়া স্কুলছাত্রী ঊর্মি খাতুন (১৩)কয়েক দিন অসুস্থ ছিল।আজ সকালের দিকে আব্দুল আজিজ তার মেয়ে ঊর্মিকে নিয়ে গ্যাম্য চিকিৎসক সাইফুলের কাছে যান।

সে সময় কিছু ঔষধ দিয়ে পরে আবার দেখা করার কথা বলে। এজন্য স্কুল ছাত্রী একাই তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে সে কৌশলে ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এমতাবস্থায় স্কুল ছাত্রীর জোরপূর্বক ধর্ষনের কারনে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তার চিৎকারে পাশ্ববর্তী লোকজন ছুটে এসে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে । এবং ধর্ষক সাইফুল কে উত্তম মাধ্যম দিয় পুলিশে দেয়।

পরবর্তীতে ধর্ষনের শিকার স্কুল ছাত্রীকে পরিবারের লোকজন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে নিয়ে আসেন। তার রক্তক্ষনের পরিমান বেশী হওয়ায় তাকে চুয়াডাঙ্গাতে নেওয়ার পরামর্শ দেয় ডাক্তারারা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শামীম কবীর জানান আজ বিকালে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং তার উপুর্যপুরি ধর্ষন করার কারনে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়েছে। এবং তার ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এবিষয়ে মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল আলম এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে ঝিনাইদাহ কোটচাঁদপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দীন জানান এঘটনার সাথে জড়িত ধর্ষক সাইফুলকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment